1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

জার্মানীতে চলছে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলন ‘রাইশব্যুর্গার’

  • Update Time : শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৩৭ Time View
জার্মানীতে চলছে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলন ‘রাইশব্যুর্গার’

প্রত্যয় ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরে জার্মানীতে চলছে রাইশব্যুর্গার আন্দোলন। ইতিমধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যমেও এসেছে রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের নাম৷ তারা করোনা সংক্রমণে নেয়া সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, এমনকি সরকারের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করছেন৷ কিন্তু এই রাইশব্যুর্গার কারা? সরকার তাদের বিষয়ে কী করছে? তা নিয়ে এই প্রতিবেদনে থাকছে বিস্তারিত-

যারা ছিলেন রাইশব্যুর্গার: রাইশ শব্দের অর্থ সাম্রাজ্য, আর ব্যুর্গার হচ্ছে নাগরিক৷ ফলে এই রাইশব্যুর্গাররা নিজেদের জার্মান সাম্রাজ্যের নাগরিক বলে দাবি করেন৷ আধুনিক জার্মানিকে নিজেদের রাষ্ট্র বলে মানতে রাজি নন তারা৷ তাদের দাবি, ১৯৩৭ বা ১৮৭১ সালের জার্মান সাম্রাজ্যের সীমানাই আসল জার্মানি৷ বর্তমান জার্মানির সরকার, পার্লামেন্ট, বিচারব্যবস্থা এবং নিরাপত্তাবাহিনীকেও তারা মিত্রশক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকা পুতুল বলে মনে করেন৷

রাইশব্যুর্গাররা যা করে থাকেন: রাইশব্যুর্গাররা ট্যাক্স বা জরিমানা দিতে চান না৷ নিজেদের বাড়ি-ঘর, সম্পদ ইত্যাদিকে জার্মান প্রজাতন্ত্রের অধীনে নয়, বরং স্বাধীন বলে বিবেচনা করেন৷ তারা জার্মান সংবিধান ও আইন স্বীকার করেন না, কিন্তু সেই আইন ব্যবহার করেই সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা করেন৷ তাদের অধিকাংশই নিজেদের তৈরি পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করেন৷

জার্মানীর জন্য হুমকী: জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-র দশকের দিকে রাইশব্যুর্গার আন্দোলন গড়ে ওঠে৷ বড় কোনো নেতা না থাকলেও এ আন্দোলনের সঙ্গে অন্তত ১৯ হাজার জার্মান জড়িত বলেও তথ্য রয়েছে৷ এদের মধ্যে ৯৫০ জন উগ্র ডানপন্থার সঙ্গে জড়িত এবং এক হাজার জনের লাইসেন্স করা অস্ত্রও রয়েছে বলে জানা গেছে৷ এদের অনেকেই ইহুদিবিদ্বেষী৷

যারা রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের সদস্য: জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী রাইশব্যুর্গার আন্দোলনে জড়িতদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং তাদের গড় বয়স ৫০ বছর৷ তাদের বেশিরভাগই সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া৷ জার্মানির দক্ষিণ ও পূর্বের শহরগুলোতেই রাইশব্যুর্গারদের মূল কার্যক্রম৷ নামকরা রাইশব্যুর্গারদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবেক মিস্টার জার্মানি আড্রিয়ান উরজাশে৷ ২০১৯ সালে গুলি চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়৷

জার্মান সরকারের সতর্কতা: দীর্ঘদিন রাইশব্যুর্গার আন্দোলনকে তেমন একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু ২০১৭ সালের একটি ঘটনা সরকারকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে৷ ভোল্ফগাং পি নামের এক ব্যক্তি তার বাসায় তল্লাশি চালানোর সময় এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন৷ এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ ভোল্ফগাং পি রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বলে গোয়ন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে৷

রাইশব্যুর্গার আন্দোলন নিয়ে সরকার যা করছে: রাইশব্যুর্গার আন্দোলন সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ কিন্তু ২০১৭ সালের আগে কখনোই তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি৷ ভোল্ফগাং পি-র ঘটনার পর থেকে নিয়মিতই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে৷ এমনকি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীও নিজেদের মধ্যে কোনো রাইশব্যুর্গার সদস্য আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে৷

রাইশব্যুর্গার আন্দোলনকারীদের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা: রাইশব্যুর্গার আন্দোলনকারীদের বেশ কিছু স্থানে রাশিয়ার পতাকা হাতে দেখা গেছে৷ ফলে রাশিয়াই এদের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগও রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ফ্রিম্যান-অন-দ্য-ল্যান্ড নামের সংগঠন রয়েছে৷ তারও রাইশব্যুর্গারদের মতোই সরকার ও রাষ্ট্রের আইন অস্বীকার করেন৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..